বাল্যকালে অনেক শিশুর বোধবুদ্ধি কম থাকে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের ঘাটতি। কিছু নিয়মিত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে থাকে।

যদিও সব খাবারে একই পুষ্টিগুণ থাকে না, এমন কিছু খাবার আছে যার মধ্যে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর বুদ্ধির বিকাশের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার শিশুর মস্তিষ্ক সক্রিয় ও সতেজ রাখে।

মস্তিষ্ক সক্রিয় এবং সতেজ থাকলে শিশুর মেধা ও বুদ্ধি বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। যেহেতু শিশুদের বেড়ে ওঠায় কিছু খাবার অনেক বেশি ভূমিকা রাখে, সেহেতু আমাদের মনে রাখতে হবে সেই খাবারগুলো শিশুদের যাতে বেশি করে দেয়া যায়। চলুন জানা যাক যাক নিয়মিত যেসব খাবার খাওয়ালে শিশুদের বুদ্ধি বাড়ে-

ডিম: ডিম খাওয়া নিয়ে শিশুদের অনীহা থাকে। অনীহা থাকলেও শিশুকে প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়াতে হবে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খায় তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের তুলনায় অন্তত ৭০ ভাগ বেশি ভালো থাকে।

দুধ: দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ও স্নায়ুকোষের আয়ু বাড়াতে সহায়তা করে।

রঙিন সবজি: টমেটো, রাঙা আলু, কুমড়ো কিংবা গাজরের মতো সবজিতে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে। এ উপাদান একাধিক স্নায়ু ভালো রাখতে সহায়তা করে। এ সবজিগুলো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। তা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।

সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সামুদ্রিক মাছ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা ফ্যাটি এসিডের ৪০ ভাগ হচ্ছে ডিএইচএ, যা সামুদ্রিক ও মাছের তেলে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হিসেবে। তাই শিশুর বয়স এবং দেহের গঠন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন খাওয়াতে হবে।

কলা: কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বলকারক কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। সকালে নাস্তার কিছু সময় পর হালকা স্ন্যাক হিসেবে একটি কলা খেলে আপনার বাচ্চাটি সকালজুড়েই তার শক্তি ধরে রাখতে পারবে।

বাদাম: শিশুকে প্রতিদিনই কয়েকটি করে বাদাম খেতে দিন। কারণ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’ যা মস্তিষ্কের সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা বাড়ায়। কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, চীনাবাদামসহ যে কোনো ধরনের বাদামই শিশুর মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।